চাক্মা জাতির ঐতিহ্যবাহী ভক্তিমূলক গাঁথা শিবচরনের গোজেন লামা
ভূমিকাঃ-
চাক্মা ভক্তিমূলক গাঁথা “গোজেন লামা’র রচয়িতা হিসেবে শিবচরন চাক্মা জাতির মধ্যে চিরস্বরণীয় হয়ে আছেন। তিনি ছিলেন কবি ও সাধক। এই জনপ্রিয় সাধক কবি কাপ্তাইয়ের নিকট নাড়াই পাহাড়ের এক গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতা ধুংগিরি ও মাতা ধম্মবী চাক্মা।
শিবচরননের শৈশব অবস্থায় তাঁর পিতার মৃত্যু হয়। সে সময় তাঁদের পরিবারের গুরুদায়িত্ব নিতে হয় জ্যেষ্ট ভ্রাতা কালিচরনকে। তাঁদের পরিবারে তখন তাঁর মা, দাদা এবং সদ্য বিবাহিত বৌদিকে নিয়ে মোট চার জন ব্যক্তি। সে সময় তাঁর মা ও দাদাকে সারাদিন জুমের কাজে বাড়ির বাইরে থাকতে হতো, সে জন্য শিবচরনের লালনের ভার পড়ে তাঁর বৌদির উপর। তাঁর বৌদি মা-বাবার স্নেহ মমতায় তাঁকে লালন পালন করেছিলেন।
শৈশব থেকে শিবচরন ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির। তিনি সে সময় পৃথিবী নিয়ে নানা কিছু ভাবতেন। পৃথিবীতে এসব কেন হয়?
কিভাবে হয়, কারা করেন? এসব ভাবতেন।
শিবচরনের বিদ্যা শিক্ষার হাতে খরি হয়েছিল তাঁর মাতুল সম্পর্কীয় “হরমুনির কাছে”। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে হরমনির কাছে অনেক কিছু শুখে ফেলেন। শিবচরনের বিদ্যা শিক্ষার ব্যাপারে তাঁর মা ও দাদা উৎসাহ যোগাতেন।
শিবচরন যখন কৈশোরে পদার্পন করলেন তখন তাঁর সংসারে বিমুখতা প্রবল হয়ে উঠে এবং সে গভীর অরণ্যে নির্জন স্থানে গিয়ে ধ্যান করতেন। শিবচরন এই সংসার বিমুখতা দেখে তাঁর মা তাঁকে সংসার বন্ধনে আবদ্ধ করার চেষ্টা করেন। জনশ্রুত আছে একদিন তাঁর মা বেইন (চাক্মা তাঁত) বোনার সময় শিবচরন সংসারী হতে বলেন। তখন শবচরন তাঁর মাকে বলেন- “মা আমাকে ধরতে পার? ধরতে পারলে তোমার জয় হবে” তখন তাঁর মা ধরতে গিয়ে দেখেন শিবচরন অদৃশ্য হয়ে গেছে।
তাঁর মা অদৃশ্য হয়ে যাওয়া দেখে খুবই আশ্চর্য হয়ে যান। তখন তাঁর মা বেইন বোনা বন্ধ করে কুত্তি (চাক্মাদের মাটির তৈরি জল পাত্র) থেকে পানি খেতে দেখেন সেই কুত্তির ছোট নলের মধ্যে শিবচরন পুতুলের মতো বসে আছেন। তখন তাঁর মা আরো আশ্চর্য হয়ে যান এবং ছেলেকে বলেন আর কোনদিন সংসারী হতে বলবো না”। তখন শিবচরন এখান থেকে বের হয়ে পূর্বের যায়গায় ফিরে আসেন।
সেই সময় ব্রিটিশদের সঙ্গে চাক্মা রাজার যুদ্ধ শুরু হলে শিবচরনদের সেই নাড়ায় পাহাড়ের ………………..চলবে
বিদ্রঃ- সম্পূর্ণ লেখাটি “বনযোগীছড়া কিশোর-কিশোরী কল্যাণ সমিতি” কর্তৃক প্রকাশিত গোজেন লামা থেকে নেয়া হয়েছে। লেখাটি প্রচারের জন্য হিলবিডি ডট কম ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হলো।