হে তটিনী ?
তোমার বারির নিচে রেখেছো আমার আবাস
ধারে আছে পাহাড়
কত আঁখির সলিলে ভরে গিয়েছ
কত নির্জন,নিঝুম রাতে তাড়িয়ে দিয়েছ
অসহায় আদিবাসীদের ।
কেমন তুমি! হে তটিনী?
তোমার নির্মম, নিষ্ঠুর মায়ায়
আমরা হয়েছি প্রতিবাদি।
তোমার হিংসুক আগমনে কেঁদেছে গহন,
অনিল, বৃক্ষ. ভূঙ্গ আর হুতাশন ।
এ কেমন করেছ তটিনী?
তোমার সলিলে কেউ সুখী
আর কেউ আজীবন দূঃখী ।
তোমার বিজলী দিয়ে কতনা ছড়িয়েছ আলো
তুমি কত হয়েছো ভালো
কিন্তু পাহাড়ে কেন দাওনি আলো?
হে তটিনী?
তুমি কি ক্ষমা পাবে?
অন্তরীক্ষ থেকে জগদীশ তাকিয়ে আছে
বলছে তুমি নিষ্ঠুর, তুমি হিংসুক
তোমার তিমিরের ছায়ায় জাগছে না পাহাড়
ডাকছে না পিক
নিরব গুঞ্জন।
তুমি ঈর্ষাপরায়ন ! হে তটিনী?
কত চিত্কার করে আওয়াজ প্রতিধ্বনি হলো
এ কি করেছ, এ কেমন হিংসা
আমাদের উর্ভর ভূমি. দুর্লভ জমি
রেখোনা তোর বুকে।
আমায় তাড়িয়ে থাকবে কি সুখে?
তুমি এসেছো শক্তিধর হয়ে
একটু কর্ণও দিলেনা।
হে তটিনী?
পাহাড়ে আগে সবি ছিল, ছিলনা বিবেধ
তোমার আশির্বাদে সব হয়েছে বিচ্ছেদ।
কত শান্তি, কত সাধ ছিল
ভঙ্গ করে দিয়েছো সবি বাসনা।
জীবনের তাগিদে তাই
বৃক্ষ হয়ে দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না।
নিলাম আশ্রয়, নিলাম পাহাড়
ভেবেছি থাকবো সেখানে নিরাপদে
তোমার হিংসুক কাঁকড়ার কারনে
তবুও শান্তিতে থাকতে দিলে না।