ফাল্গুন মাস হচ্ছে পাহাড়ের বুকে নতুন সাজ নামানোর প্রস্তুতি মাস। এই মাসের আগমনে প্রকৃতি যেমন তার রুপ পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুনকে স্বাগত জানাতে উদগ্রীব, তেমনি পাহাড়ী প্রেমিক যুগলও ভালোবাসায় মেতে উঠে এই ফাগুনের মনোরম পরিবেশে তাদের আপন ছন্দে। ফাগুন ও প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল একে অপরের পরিপূরক হয়ে পাহাড়কে নতুন রুপে সজ্জিত করে চলে-এই কথাটা যেন চিরন্তন রুপ লাভ করে প্রতিটি ফাগুন এলেই । এই ফাগুন ও প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল নিয়ে আমার দুইটি কবিতাইয় সেই বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
ফাগুনো আবা
১।
ফাগুনো আবা
লাংদা গাজর সাবা,
কজমা বেলর সাজ
ইটটুক ইটটুক গাভূর লাজ,
আদে আদ ধরা ধরি উজুনি পধে
হোচপানার হধা-গীদ গেই যাদে যাদে,
হাদি যের দ্বি ‘জনে আদামর লাঙ্গেলো পদ ধরি।
২।
সার্বো গাজর সাবা
ঝোলগা ঝোলগা আবা
ভালক্কন চের’বু চোগর মাদামাদি
লারে লারে এককুড়ি আঙ্গুলর বদাবুদি
তারপরেনদি লাম্বা ইজ্ঞু সুঞ্জুক অক্ত!
তুও ‘দ ন ভাঙ্গিল আমার লাজ,
ন ফুদিল কারো মুও’র ভাচ।
ভালক্কন বাদে-
মিধে মিধে বাজি ‘র
গুরু চরান্যের হেরে-টি-টি-ব-ব-বঅ
আদাম্যে মানচ্চুনর জুমত্তুন ফিরানা
পুন্দুরি রাঙ্গা জুরবো পেগর সমার দাগানা
লারে লারে সাজ ভুঙি এজানা।
৩।
ফাগুনর সাজুন্যে আগাজ
আগুনো রঙে লিবিনে দেবা
ফুদি তুলিলো সদর হিয়ের সাজ,
তদেকক্কুনে ধান হাদন
চিরোহিত্তে বার্গী উত্তোন
ফুদি উদিল আমার মুয়োর ভাচ।
৪।
হোচপাং পরানী মুই
হোচপেই যেম তরে জনমান,
ফাগুন দিনর রোজুনি গীদত
বানি থুলুং ম হোচপানা ইদত।
জুনহ পহর
১।
পুটপুট্টে জুনো পহর
ফাগুনো মিদে মিদে আবা,
লাম্বা তোলোইয়োর উগুরে
ঝুরি পরিল কালামেঘর মস্ত ইজ্ঞু ছাবা!
২।
পুরি আগং সরল হিয়েয় জুনাহনো হিত্তে চেই,
ইদত উদি পরান তুই নিজেলে মরে হাজেই।
হাজি গিলুং চেঙ্গে পাড়ত, পাড় ভাঙ্গা পধে,
যে দিনুনত যেদং আমি, নিত্য ধরাধুচ্চে হাদে।
চোগে চোগ চা চি, চিবে চিবে আহজি
মনান মর হুজি অদ, যেক্কে উঠতে নাজি।
এক লগে হাদি হাদি, তমা ঘরত যেদং
চিদল দিনে হুরবো গত্তে, ইল অয় সং হেদং।
এক লগে তমা জুমত, বেড়েবাত্তেই যেদং
জাববো’উন দিগি পধে, এক্কা এক্কা দরেদং।
জুমত এলাক পাগানা ধান, মিধে মিধে বাচ
চিরোহিত্তে মামারা-চিন্দ্রে, অমঅদ সাজ।
বেল দুবুনি অক্ত অলে গায়গাইয় ফিরিদং
এদক হোচপানা এল জানিলে, হেনে ইরিদুং।
সেই দিনুওনত দ্বি’জন আমার, বয়স এল কজমা
হোচপানা ন বুজিদং, আমঅদ এলং বেদমা।
৩।
সেই ফাগুনো অক্ত এলে, ইদত উদে তরে
তর উ হি হদত উদে, এনজান গুরি মরে?
হেগাবগা চাংমা
০৩, মার্চ ২০১২ ইং